কোটি কোটি টাকার বিরল প্রজাতির সাপ, মাকড়শা উদ্ধার । সাধারণ একটা বাক্স নিয়েই ট্রেনে উঠেছিলেন মহিলা । কিন্তু, ওই বাক্সের মধ্যে জামা-কাপড় নেই, তা কে-ই বা জানত । পুলিশের একটু সন্দেহ হওয়ায় বাক্সটি খুলে দেখতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের । দেখা যায়, জামা-কাপড়ের বদলে সেখান থেকে পিল পিল করে বেরিয়ে আসছে মাকড়সা, ফণা তুলছে সাপ । রয়েছে গুবড়ে পোকাও । পুলিশ পরীক্ষা করে জেনেছে এর প্রত্যেকটিই অত্যন্ত বিরল প্রজাতির এবং সবক’টি প্রাণীর বাজারদর কম করে ৫০ কোটি টাকা । পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা গিয়েছে, নাগাল্যান্ড থেকে এসেছেন ওই মহিলা । সোমবার ট্রেন ধরেন হাওড়া স্টেশন থেকে । নাম দেবী চন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, পুণের বাসিন্দা দেবী নাগাল্যান্ড থেকে গুয়াহাটি আসেন প্রথমে । সেখান থেকে ট্রেনে আসেন হাওড়ায় । এরপর হাওড়া থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য নীলাচল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি । তাঁকে দেখে রেলপুলিশের সন্দেহ হয় । পরীক্ষা করার জন্য মহিলার বাক্স খুলতেই ওই দৃশ্য দেখেন । ঝাড়খণ্ডের টাটানগরে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার কাছে মোট ২৮টি সাপ ছিল। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি অজগর এবং কিছু বিরল প্রজাতির অজগর সাপও ছিল। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তারা জেনেছে বিরল প্রজাতির ওই সাপগুলির মধ্যে রয়েছে স্যান্ড বোজ, অ্যালবিনো পাইথন, বল পাইথন এবং রেড পাইথন। এছাড়া বিষধর মাকড়সা, বিরল প্রজাতির গিরগিটি এবং গুবরে পোকাও ছিল । মহিলা জানিয়েছেন, ওই তিনি কিছুই জানেন না । আট হাজার টাকার বিনিময়ে শুধু মাত্র ওইগুলি বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিলেন । তাঁকে একাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডের এক ব্যক্তি । তাঁর কাছ থেকেই ওই প্রাণীগুলি নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছিলেন তিনি ।
পুলিশ জানিয়েছে, অনেকসময় এসব প্রাণীর বিষ থেকে মাদক তৈরি হয় । সেকারণেই ওই প্রাণীগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল কি না সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি ।