কোভিডের কারণে দুই বছর পুরুলিয়ায় শতবর্ষ প্রাচীন মনি বাইজির রথের চাকা গড়ায়নি। তবে এবছর প্রশাসন রথযাত্রার অনুমতি দিয়েছে। আর তার জেরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
পুরলিয়ায় এই রথযাত্রার সূচনা করেন মনি বাইজি। তারপর থেকে প্রতিবছর মহা ধুমধামের সঙ্গে এখানে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রা। মাঝে কোভিডের জন্য দুই বছর এর ব্যতিক্রম ঘটে। কথিত আছে, প্রায় দেড়শো বছর আগে লখনউ থেকে মুন্নি বাই নামে এক বাইজি পুরুলিয়ায় এসেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হন এবং ‘মনমোহিনী বৈষ্ণবী’নামে খ্যাত হন। ১৮৯৮ সালে পুরুলিয়া শহরের প্রাণ কেন্দ্র চকবাজারে একটি মন্দির নির্মাণ করেন তিনি। সেখানে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ জীউর বিগ্রহ অধিষ্ঠিত করিয়ে রথযাত্রা সূচনা করেন।
WHO on Covid: ফের বাড়ছে কোভিড, দুনিয়াজুড়ে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
প্রাথমিক পর্যায়ে কারুকার্যে শোভিত পিতলের রথটি ছিল যথেষ্ট দৃষ্টিনন্দন। তখন রথটি দৈর্ঘ্যে ও উচ্চতায় ছিল যথাক্রমে ১২ ফুট এবং ২২ ফুট। পরবর্তীতে রথটির উচ্চতা ও দৈর্ঘ্য কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে দশ চাকা থাকলেও পরে আটটি চাকা লাগানো হয়।
রাধা গোবিন্দ জীউর দৈনন্দিন পূজা ও রথযাত্রা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য মনি বাইজি পুরুলিয়া শহরের তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। সেই বোর্ডের অন্যতম কার্যকর্তা নন্দলাল দত্ত কয়ালের পরিবার বংশানুক্রমে ১৯২২ সাল থেকে রথযাত্রার দায়িত্ব পালন করে আসছে । এই রথের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা নন, এই রথে রাধা-গোবিন্দ অধিষ্ঠিত থাকেন।