বৈশাখ মাস । চারিদিকে কাঁঠফাটা রোদ্দুর । ৪০ ডিগ্রির উপর তারমাত্রা । বাইরে চলছে তাপপ্রবাহ । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলিতে এগিয়ে আনা হয়েছে ছুটি । আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ ও অস্বস্তিকর গরম চলবে । কিন্তু, সবার একটাই প্রশ্ন আগে কোনও বৈশাখে এত গরম পড়েনি । বিশেষজ্ঞরাও তাই বলছেন । কিন্তু, কেন এত গরম পড়ছে ? কারণ ই বা কী ?
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ একটা প্রধান কারণ। যে শুষ্ক বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে, তাতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যন্ত কম । রাজ্যের বাতাসে আর্দ্রতা থাকার কথা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ, সেখানে এখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ মাত্র ৬০ শতাংশ । আবহবিদদের একাংশ বলছেন,গরমের এই ভোলবদলে দায়ী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার খামখেয়ালিপনা । তবে, প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া এর জন্য দায়ী একাংশের মানুষ । গাছ কেটে বড় বড় অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে । সবুজের জায়গায় চুন-সুড়কি-পাথরের নগরোন্নয়ন ঘটছে । বেড়েই চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ণ । এসবও প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার অন্যতম কারণ ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই বিষয়ে অনেকেই সরব হয়েছেন । একাংশ সরব হয়েছেন গাছ কাটার বিরুদ্ধে । শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা গাছ লাগানোর এবং বাঁচানোর পরামর্শ দিচ্ছেন । চারিদিকে যে পরিস্থিতি, সেকথা ভেবে এখন মানুষেরও উচিৎ সচেতন হওয়া ।