গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। সৌজন্যে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। তার উপর পূর্ণিমার ভরা কোটালের জোয়ারের জলে প্লাবিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। বকখালি এবং গঙ্গাসাগরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রসৈকত থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। এলাকায় কাজ করছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা৷ সমুদ্রস্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রবল দুর্যোগ মোকাবিলায় কাকদ্বীপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সতর্কবার্তা দিতে ব্লক প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করছে। গোসাবা, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, সাগর, নামখানার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত।
নষ্ট হয়েছে চাষের জমি, সাগরের বঙ্কুিমনগর, সুমতিনগর, ধবলাঘাট, কপিলমুনির আশ্রম প্রাঙ্গন সহ বিরাট এলাকা প্লাবিত। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নামখানা ব্লকের একাধিক জায়গাও প্লাবিত।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্যোগের পরেই প্রশাসনের তরফে মাটির নদী বাঁধ সংস্কার করা হয়৷ কিন্তু প্রতি বছরই সেই বাঁধ ভেঙে যায়৷ ফলে প্রয়োজন কংক্রিটের বাঁধের। প্রশাসন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
এছাড়া ভরা কোটালের পাশাপাশি সারা রাজ্যজুড়েই সোমবার ভোররাত থেকে হচ্ছে ভারী বৃষ্টি। মালদা মুর্শিদাবাদেও কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত জনজীবন। কোথাও স্কুলে রেনি ডে, কোথাও আবার বৃষ্টিতেই চলছে ক্লাস।