গত ১০ মার্চ ডিএ ধর্মঘটের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রেজিস্ট্রার। অভিযোগ, ধর্মঘটের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও কর্মীদের পুরো বেতন দেন রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। এমনকি, তিনি ১০ মার্চের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার অর্থমন্ত্রকে পাঠাননি বলেও অভিযোগ পান উপাচার্য সত্যসাধন চক্রবর্তী। এরপরই তাঁকে বরখাস্তের নোটিশ পাঠান উপাচার্য সত্যসাধন চক্রবর্তী। ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের মধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার তাঁর দফতরে ঢুকতে গেলে বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অফিসার মহেশ্বর মাল্যদাস। অন্যদিকে, রেজিস্ট্রারের অভিযোগ, উপাচার্যর অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রেজিস্ট্রারই এক বছরের বেশি টেকেন না। ওঁর অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় তাঁকে এইভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ চন্দনবাবুর।
বরখাস্তের নোটিশকে 'অবৈধ' আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, উপাচার্যের বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই তাঁর চক্ষুশূল হয়েছেন রেজিস্ট্রার। ফলে সুযোগ পেতেই তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন উপাচার্য।