মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃত্রিম হাত ও চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আচমকা রেণু খাতুনের (Renu Khatun) জীবনে আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তাঁর হাত কেটে নেন যারা, সেই তিনজন জামিনে মুক্ত পেয়েছেন। তারপরই ক্ষোভ উগরে দিলেন রেণু।
বর্তমানে একটি নার্সিং কলেজে কর্মরত রেণু। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কৃত্রিম হাতেরও ব্যবস্থা করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু তিন অভিযুক্তের জামিনের পরই রীতিমতো আতঙ্কিত রেণু। তিনি জানান, "আমি আতঙ্কিত। তদন্তে গাফিলতি থাকতে পারে পুলিশের। তাই হয়তো ওরা জামিন পেয়ে গেল। আমার ওপর আবার হামলা হতে পারে।"
আরও পড়ুন : জেলেও 'গুরু' অনুব্রতর 'যত্ন' নিচ্ছেন দেহরক্ষী সায়গল, মেডিক্যাল ওয়ার্ডে যেতে মরিয়া চেষ্টা?
গত ৪ জুন, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামে ঘটে দুর্ঘটনা। চাকরি না করতে দেওয়ার জন্য ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামী শেখ সরিফুল ওরফে সিরাজ শেখের বিরুদ্ধে। পরে জানা যায়, সিরাজের সঙ্গে ছিল তার এক ভাই ও আরও দুই সঙ্গী। রেনুর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। গত ৩০ জুন আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রেণু নার্সিংয়ের চাকরি পান।