RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ এবং দেশের বাইরেও প্রতিবাদ জোরালো হচ্ছে। দীর্ঘতর হচ্ছে মিছিল-জমায়েত। দোষীদের শাস্তি চেয়ে অলি গলি থেকে রাজপথ, সর্বত্র কানে আসছে স্লোগান। রোজ প্রতিবাদের অভিনব ভাষা দেখছে বাংলা। বিশ্বকর্মা পুজোতেও প্রতিবাদ জারি থাকবে, উৎসবের মেজাজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। কীভাবে? ঘুড়িতে ঢাকবে আকাশ। কালো ঘুড়িতে স্পষ্ট লেখা থাকবে বিচারের দাবি।
পেটকাটি, চাদিয়াল, মোমবাতি, বজ্ঞার চাহিদা আলাদা করে কমছে এ বছর। প্রতিবাদী ঘুড়ির চাহিদা বেশি।
‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ লেখা ঘুড়ি ওড়ানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে পাড়ায় পাড়ায়। কালো ঘুড়ি কেন? প্রথমত, গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য কালো রং বেছে নেওয়া।
দ্বিতীয়ত, কালো রঙের ঘুড়ির ওপর লিখলে লেখা স্পষ্ট হবে বেশি। ঘুড়ি অনেকটা ওপরে উঠলেও দেখা যাবে লেখা। কীভাবে এই ঘুড়ি বানানোর কথা মাথায় এল? সামনেই উৎসবের মরশুম। সপ্তাহ খানেক আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাধারণ মানুষকে উৎসবে ফেরার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা বাংলাজুড়েই দু রকমের জনমত গড়ে ওঠে। কেউ বলেন, তিলোত্তমা বিচার না পাওয়া অবধি কোনও উৎসব নয়। কেউ আবার বলেন উতসবের দিনগুলোতেও প্রতিবাদ হোক, অন্যভাবে। সেই সময় থেকেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কালো ঘুড়ি ওড়ানোর ভাবনা মাথায় আসেন অনেকের।
শহরের বেশ কিছু ঘুড়ির দোকানে নাকি হটকেকের মতো বিকোচ্ছে ওই ডিমান্ড জাস্টিস লেখা ঘুড়ি। বিশ্বকর্মা পুজো এসে গেলে মোটামুটি খাতায় কলমে বলা যায়, ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। এই বিশ্বকর্মা পুজোয় আকাশ যদি কালো ঘুড়িতে ছেয়ে যায়, বলা যেতেই পারে, বাঙালির দুর্গাপুজোর ইতিহাসে এ হতে চলেছে এক বেনজির প্রতিবাদী পুজো। এর আগে করোনা আবহে অন্যরকম পুজো দেখেছে উৎসবপ্রেমী মানুষ। তবে এ পার বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসবে এমন প্রতিবাদ আগে দেখেনি মানুষ।
শহরের বিভিন্ন ক্লাবও বিশ্বকর্মা পুজোয় বিচারের দাবি লেখা ঘুড়ি ওড়ানোর আয়োজন করেছে। এ এক অন্য ঘুড়ি উৎসব। ভো কাট্টার খেলা নেই, হার জিত নয়। বিচারের দাবিতে সবাই এককাট্টা। কেউ কাউকে ছাপিয়ে মাথা উঁচু করে উড়তে চাইছে না। 'আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক'ও বলছে 'বেঁধে বেঁধে' থাকার কথা।