আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার ময়না তদন্তের সময়ে এত বড় গাফিলতি? প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে। ময়নাতদন্তের সময়ে মৃত চিকিৎসকের পোশাক, অন্তর্বাস পড়ে ছিল অপরাধস্থলেই!
সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে আইনজীবী ফিরোজ ইদুলজি বলেন, ঘটনার পর দুটি সিজার লিস্ট থাকার কথা। জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময়ে মৃতার পরনে থাকা জিন্সের প্যান্ট ও অন্তর্বাস ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল ক্রাইম সিনেই। ফিরোজ ইদুলজির তোলা প্রশ্ন যথাযথ এবং বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের শীর্ষ আদালত! জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
সিবিআই-এর আইনজীবী ফিরোজ ইদুলজি আরও প্রশ্ন তোলেন, শুক্রবার সংগ্রহ করা নমুনা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। ল্যাব শনিরবিবার বন্ধ থাকে। ফরেনসিক তদন্ত সঠিক ভাবে হয়েছে তো, প্রশ্ন তোলেন সিবিআই আইনজীবী। সেই প্রসঙ্গে,
প্রধান বিচারতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট থেকে যা জানা গিয়েছে তা ভয়ঙ্কর এবং উদ্বেগজনক।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শুনানির তৃতীয় দিনে সিবিআই আরজি কর তদন্তে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে।
তার পর প্রধান বিচারপতি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পড়ে জানান এক সপ্তাহের মধ্যে বা সময় বেঁধে সিবিআই-কে তদন্ত শেষ করতে বললে প্রকৃত উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না। কীন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের জন্য সময় দিতে হবে।
কত ক্ষণের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ? সেই নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি রাজ্য এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, সাত-আট ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, রাজ্য ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই রিপোর্ট দেখে তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের রিপোর্ট দেখে তাঁরা ‘বিচলিত’। মঙ্গলবারের শুনানি চলাকালীন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার নির্দেশ দিল বেঞ্চ।