দিনকয়েক আগে সমকামী বিয়ের (Same Sex marriage) সাক্ষী থেকেছে কলকাতা ৷ বহুদিনের সঙ্গী চৈতন্য শর্মার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিষেক রায় । দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই বিয়ে হয়েছে তাঁদের । কিন্তু,তাতে কী সমাজ এতটুকু এগিয়েছে ? না, কারণ সমকামিতা এখনও আমাদের সমাজ মেনে নিতে পারেনি । সেই ছবি দেখা গেল হুগলিতে (Hooghly News) । একে অপরকে ভালবেসেছেন ঝুম্পা ও সাথী । প্রথমে মানতে চায়নি তাঁদের পরিবার । পরে, মেনে নিলেও সমাজের রোষে পড়েন তাঁরা । বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাঁদের । কিন্তু, তাতে কি আর ভালবাসা আটকে রাখা যায় ? আটকে রাখা যায়নি তাঁদেরও । বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন সাথী ও ঝুম্পা ।
দাদপুর সাটিথানের বাসিন্দা ঝুম্পা ঢালি। আর সাথী বাগের বাড়ি বলাগড় গুপ্তিপাড়ার গোসাইডাঙায় । দু'জনের আলাপ ফেসবুকে । প্রথমে আলাপ, পরে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়, ধীরে ধীরে একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা । কিন্তু, সমপ্রেমী সম্পর্ক প্রথমে মেনে নিতে পারেনি তাঁদের পরিবার । বিচ্ছেদের জন্য মারধরও করা হয় তাঁদের, এমনই অভিযোগ ওঠে । এদিকে, তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবেন না । প্রেমের জন্য লম্বা চুল কেটে ফেলতেও দ্বিধা করেননি ঝুম্পা । সাথীকে ছাড়া নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিলেন । মেয়ের এই দশা দেখে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয় ঝুম্পার পরিবারও । কিন্তু মেনে নেয়নি সমাজ । 'পাড়ার মেয়েরাও যদি ওদের মতো হয়ে যায়', এই প্রশ্নই বারবার তুলছেন গ্রামের মানুষেরা । তাই আজ বাড়ি ছাড়া ঝুম্পা ও সাথী ।
আরও পড়ুন, shoot out:কলকাতায় জাদুঘরের কাছে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল জওয়ান, জখম ২
এখন আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন দু'জনে । বিয়ে করেছেন । সেই ভাড়া বাড়িতেই তাঁদের নতুন সংসার । ঝুম্পা একটি চকোলেট কারখানায় কাজ করেন । আর সাথী কাজ করেন গেঞ্জি কারখানায় । দু'জনের সামান্য রোজগারে কোনওরকমে সংসার চলছে । সমস্যা তো একটু হচ্ছেই । কিন্তু, তাঁদের বিশ্বাস, আস্তে আস্তে সেসব সামলে উঠতে পারবেন দু'জনে । পরিবার যে তাঁদের সম্পর্কটা মেনে নিয়েছে, এতেই তাঁরা খুশি ।