কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সোমবার দ্বিতীয়বারের জন্য ময়নাতদন্ত জয়নগরের মৃত শিশুর মরদেহের। কল্যাণী AIIMS-এ তার দেহ পৌঁছে গিয়েছে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরাই ময়নাতদন্ত করছেন। এবং প্রয়োজনে পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
RG কর কাণ্ডের মধ্যেই ফের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় জয়নগরের কুলতলিতে। অভিযোগ, ৯ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয় পরিবারের তরফে।
পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিখোঁজ ডায়েরি করা নিয়ে পুলিশ প্রথমে টালবাহানা শুরু করে। তারপর ডায়েরি নিলেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগে, মৃতদেহ উদ্ধারের পর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি থানায় আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। অ
যদিও পুলিশের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে ৬ অক্টোবর হাইকোর্টে এই মামলায় শুনানি হয়। সেখানে মৃত শিশুর পরিবারের দাবি ছিল কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে তাঁদের সন্তানের মৃতদেহের তদন্ত করা হোক। আদালত সেইমতো কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। আদালতের প্রশ্ন, ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন পকসো আইন যুক্ত করা হয়নি?
সোমবার সকাল পর্যন্ত নিহত শিশুর দেহ রাখা ছিল কাঁটাপুকুর মর্গে। সেখান থেকে সকাল পৌঁনে ১০টার মধ্যে কল্যাণী এইমসে মরদেহ পৌঁছে যায়। তার বেশ কিছুক্ষণ পর ময়নাতদন্ত শুরু হয়। সূত্রে খবর, পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেহ ফের জয়নগরে নিয়ে যাওয়া হবে। এবং তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
শনিবারের পর মাঝে একটা দিন কেটেগেলেও সোমবার থমথমে পরিস্থিতি জয়নগরে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অধিকাংশ দোকান খোলা হলেও সেভাবে ক্রেতাদের দেখা মেলেনি বলেই জানিয়েছেন বিক্রেতারা। দফায় দফায় পুলিশের ভ্যান বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে।