দেশবাসীর উপর আপাতত প্রয়োগ করা যাবে না দেশদ্রোহ আইন (Sedition Law)। বুধবার এক ঐতিহাসিক নির্দেশে একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ,যত দিন না কেন্দ্র দেশদ্রোহ আইনের পুনর্বিবেচনা শেষ করছে, তত দিন এই আইনের প্রয়োগের উপর স্থগিতেদেশ (Injuction) বজায় থাকবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার (N V Ramana) বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল, যত দিন দেশদ্রোহ আইনের পুনর্বিবেচনা চলছে, তত দিন কি এই আইনের আওতায় রুজু হওয়া মামলা স্থগিত রাখা যায়? বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, তারা রাজ্যগুলোকে বলতে পারে, পুলিশ সুপার বা তার চেয়ে উঁচু পদমর্যাদার আধিকারিকরাই যেন কেবল দেশদ্রোহ মামলা করতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রের এই দাবি এদিন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
জনরোষ-হিংসা রুখতে শ্রীলঙ্কায় দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ
একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, নতুন করে এই আইন প্রয়োগ করে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। এই আইনে এখন যে সমস্ত মামলা চলছে, তা স্থগিত হয়ে যাবে। এবং এই আইনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জামিনের আবেদন করতে পারবেন। তা সত্ত্বেও যদি এই আইনে কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়, তাহলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
এই প্রসঙ্গে অন্যতম মামলাকারী তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘‘আমার দীর্ঘদিনের লড়াই আজ স্বীকৃতি পেল। সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে এই রায় প্রদানের জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা রাখি যে কেন্দ্রীয় সরকার যথোপযুক্ত পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে এই আইনের বিলোপ ঘটাবে।’’