সেক্সটরশন (Sextortion)। এই চার শব্দ থেকে সমাজকে বাঁচাতে মরিয়া এখন সাইবার বিশেষজ্ঞরা (Cybar Expart)। দেশ-বিদেশ তো বটেই, এমনকী রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও সেক্সটরশন থেকে মানুষকে বাঁচাতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে পুলিশ (Police) থেকে প্রশাসন। বিশেষ করে কোনও অচেনা নম্বর থেকে ভিডিও কল বা ম্যাসেঞ্জারে অপরিচিত নম্বরের সঙ্গে চ্যাট না করার জন্য সবসময় নিষেধ করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তারমধ্যেই কোনও না কোনও সময়ে এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন যুব থেকে প্রৌঢ়রা। সম্প্রতি হুগলির (Hoogly) চন্দননগরের (Chandannagar) এক সিপিএম (Cpm) নেতার ফোনেও টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে গোপাল শুক্লা নামের ওই সিপিএম নেতার ফোনে হঠাৎ-ই ভেসে উঠেছিলেন এক মহিলা। যিনি নগ্ন হয়েই ফোন করেছিলেন গোপালকে।
ঠিক কী হয়েছিল চন্দননগরের সিপিএম নেতা গোপাল শুক্লার সঙ্গে ? গত রবিবার একটি বৈঠকে ছিলেন গোপাল। সেইসময় তাঁর ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি অচেনা নম্বর থেকে কল আসে। ধরতেই এক মহিলার নগ্ন ছবি ভেসে ওঠে। মোবাইল স্ক্রিনের এক কোণে গোপাল শুক্লার ছবি, ভিডিও কলে যেমনটা হয়। গোপালের দাবি, এ ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধী অপর প্রান্তে, তাই ব্ল্যাকমেল করার ফাঁদ পাতে। সামাজিক বদনাম হওয়ার ভয়ে অনেকে টাকা দিতে রাজি হন। এ ক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে গোপাল সোজা পুলিশে অভিযোগ করেন। প্রথমে চন্দননগর থানায় যান। সেখান থেকে চুঁচুড়ায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় সোমবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনার পরেই ফেসবুকে বন্ধুদের তড়িঘরি বিষয়টি জানান গোপাল শুক্লা। পুলিশের কাছে তিনি জানান, পায়েল রেড্ডি নামের এক মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। এবং তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হল। যেহেতু তিনি সাইবার অপরাধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন, তাই তিনি টাকা না দিয়ে পুলিশের কাছে যান।
সম্প্রতি ‘সাইবার লাইটস রিস্ক ভিশন’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মোবাইল সিম কার্ড কেনা থেকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে কী কী ভাবে প্রতারণার শিকার হতে পারেন, তা ছোটো ছোটো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। ব্যাঙ্কে প্রতারণা, এটিএম ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে প্রতারণা, মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে প্রতারণা, পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে প্রতারণা এবং ‘সেক্সটরশন’-এর মতো বিষয়ের শিকার যাতে না হন সাধারণ মানুষ, তার জন্য সচেতন করা হয়েছে। অনেকে সচেতন হয়েছেন, আবার অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলেও কী ভাবে অপরাধের শিকার হয়ে যাবেন, তা বুঝতে পারছেন না। তাঁদের এই ইউটিইউব দেখতে উৎসাহ দিচ্ছেন সাইবার থানার আধিকারিকরা। এই চ্যানেল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সাবস্ক্রাইব করা যায়।