আকাশের মুখ ভার। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মাঝে মাঝে বইছে দমকা হাওয়াও। আতঙ্কে রয়েছেন কাকদ্বীপ, নামখানা, সুন্দরবনের মতো উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। আটকে পড়েছেন পর্যটকরা।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে আপাতত তিনদিন বন্ধ রাখা হচ্ছে সুন্দরবনের জঙ্গল। যারা ইতিমধ্যেই সুন্দরবনে পৌঁছে গিয়েছেন রবিবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে তাঁদের ফেরানোর কাজ। পর্যটকদের নিরাপদ ভাবে সরানোর কাজ শুরু করেছে ট্যুর অপারেটররা।
সিত্রাংয়ের প্রভাব উপকূলবর্তী এলাকায় পড়বে বলেই পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই কারণেই সুন্দরবনের সমস্ত জঙ্গল সাফারি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সজনেখালি সুধন্যখালীতে বাকি সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হবে।
এছাড়াও ইতিমধ্যে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ফেরি চলাচল। অমাবস্যার কোটাল শুরু হওয়ায় নদীতে জলের প্রকোপ ও যথেষ্ট বেশি। পর্যটন বোর্ডগুলিকেও নদীতে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। রবিবার থেকেই সুন্দরবন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সোমবার বেলা বাড়তেই বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার দাপট বাড়তে পারে। উদ্বেগে রয়েছেন বাসিন্দারা।