এ এক বিরল পুজো। সপ্তমীর মধ্যরাতে বাড়ি ফিরেই আবার প্যান্ডেলে বাঙালি। কারণ, তিথির ফেরে এবার মধ্যরাতে হয়ে গিয়েছে অষ্টমীর অঞ্জলী। আর সকাল থেকে শুরু হয়েছে নবমীর পুজো। বাড়ি হোক বা বারোয়ারি, রাজ্যের প্রতিটি মণ্ডপে প্রথা মেনে হয়েছে অঞ্জলী। উত্তর কলকাতার বাগবাজার হোক বা দক্ষিণ কলকাতার ম্যাডোক্স স্কোয়ার, সাবেকিয়ানাকে সাক্ষী রেখেই নবমীর অঞ্জলী সম্পন্ন হয়েছে।
ঐতিহ্য মেনে পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাটের কাঁসারী বাড়ির দুর্গা পুজোর মহা অষ্টমীর সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ। এ বছর তাদের পুজো ৯০ বছর বর্ষে পদার্পণ করল। বাড়ির গৃহিণী শরৎবাসিনী দাস এই পুজোর প্রচলন করেন। মহালয়ার আগেই দেবী দুর্গার মূর্তি সম্পন্ন করার রীতি আজও চলে আসছে।
১০২৮ বছরের রীতি মেনে প্রাচীন মল্লগড় বিষ্ণুপুরের রাজ দরবারের অদূরে থাকা মুর্ছা পাহাড় থেকে পরপর গর্জে উঠল কামান। তিন তোপের প্রবল শব্দে সূচিত হল অষ্টমী ও নবমীর মহা সন্ধিক্ষণ। ১০২৮ বছর আগে মল্লরাজ জগত মল্ল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মৃন্ময়ীর মন্দির। ধুমধামে শুরু হয় দেবীর আরাধনা।