পুলিশের ‘কামড়’ ইস্যুতে এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম। মূলত একজন পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, রাজ্যের বিরোধী দলগুলো আঙুল তুলছেন পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের দিকে। তবে শাসক দলের বর্ষীয়ান নেতাদের অনেকেই আবার তার সঙ্গে সহমত নন। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় স্বীকার করে নিয়েছেন এ পুলিশের নীতি-বিরোধী আচরণ।
শুক্রবার এ বিষয়ে প্রশ্ন করাতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ কামড় দিল কেন, এটাই আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তবে যদি কামড়ে থাকে, তাহলে সেটা নিশ্চিতভাবে পুলিশের কোড অব কনডাক্টে আটকে যায়। কামড়ে দেওয়াটা পুলিশের কোনও কনডাক্টে পড়ে না।’ গোটা ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শোভনদেবের দাবি, পুলিশ কী করল, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করা যায় না।
এই ইস্যুতে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘পুলিশ নিশ্চয় এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত করছে। সংযত থাকলেও, একটা ছোট ঘটনার জন্য পুলিশ কলঙ্কিত হল।’
সম্প্রতি, চাকরির দাবিতে পথে নেমে জুটল পুলিশের লাঠি। সেখানেই এক চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত অরুণিমা পাল সহ প্রায় ৩০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ৩০ জনের মধ্যে কিছুজনকে শিয়ালদহ ষ্টেশনে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেই খবর। বাকিদের গ্রেফতার করে লালবাজার। চাকরিপ্রার্থীদের আরও অভিযোগ, রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই মহিলা চাকরিপ্রার্থী অসুস্থবোধ করলে তাঁকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতেও নাকি রাজি ছিল না পুলিশ। পরে অবস্থার অবনতি হলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্তের।