অফিসের কাজে সিকিম গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির সৌরভ । ঘটনার আগের দিনও পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল । কিন্তু, সেটাই যে তাঁর শেষ কথা, ভাবতে পারেনি রায়চৌধুরী পরিবার । বাড়ির হাসি-খুশি ছেলেটা ফিরল কফিনবন্দী হয়ে । বুধবার সিকিম থেকে শক্তিগড়ের বাড়িতে আনা হয় সৌরভের দেহ । কান্নায় ভেঙে পড়েন মা, বাবা-সহ আত্মীয়স্বজনেরা । চোখের জলে সৌরভকে বিদায় জানান গোটা পাড়া । শেষ শ্রদ্ধা জানান ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার ।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি কর্ম প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সৌরভ । ওই সংস্থারই কোনও কাজের সূত্রে সিকিমে গিয়েছিলেন সৌরভ । মঙ্গলবার ছুটি ছিল । তাই, অবসরে তিনি আর তাঁর দুই সহকর্মী একসঙ্গে ছাঙ্গুর দিকে বেড়াতে গিয়েছিলেন । সেখানেই ১৫ মাইলের কাছে তুষারধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সৌরভের । তিনি পরিবারের একমাত্র ছেলে বলে জানা গিয়েছে ।
গ্যাংটক থেকে নাথু লা যাওয়ার রাস্তায় ১৫ মাইলে মঙ্গলবার সকালে আচমকা তুষারধ্বস নামে। পর্যটকদের ৫-৬টি গাড়ি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়, চাপা পড়েন জনা তিরিশ পর্যটক। ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয় । তাঁদের মধ্যে দু'জন বাঙালি ছিলেন । আর জখমদের মধ্যে সাত জন বাঙালি ছিলেন বলে খবর ।