পঞ্চমী থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় কলকাতার একাধিক মণ্ডপে। রাত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টালা প্রত্যয়, শ্রীভূমি, সুরুচি, হাতিবাগান সহ বিভিন্ন মণ্ডপে লম্বা লাইন। শুধু কলকাতা নয়, শহরতলি এবং ভিন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে চড়ে কলকাতায় আসছেন। এই পরিস্থিতিতে ভিড় সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে পূর্ব রেলওয়ে। ইতিমধ্য়ে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে কয়েকটি উদ্য়োগ চালু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে ওই ব্যবস্থাগুলি চালু হবে।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া স্টেশনে অতিরিক্ত ৭টি অসংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার খোলা হচ্ছে। সারারাত ওই কাউন্টারগুলি খোলা থাকবে। এরসঙ্গে অতিরিক্ত রক্ষীরও ব্যবস্থা থাকবে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ সপ্তমী থেকে মেট্রো চালানো হবে রাতে। দুপুর থেকে শুরু করে রাত ২টো পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে। ফলে সেখানেও ভিড় সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলা হবে বিভিন্ন স্টেশনে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিনও চালু থাকবে।
এদিকে এসপ্লানেড-হাওড়া মেট্রোর যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে রেল। হাওড়া মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশেই তৈরি করা হয়েছে লোকাল ট্রেনের টিকিট কাউন্টার। যেখান থেকে হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে যাওয়ার টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। পাশাপাশি লোকাল ট্রেনের জন্যও স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।
হাওড়া কর্ড ও মেন শাখায় পুজোর দিনগুলিতে রাত ১টা পর্যন্ত ট্রেন পাওয়া যাবে। পুজো উপলক্ষ্যে ১৪টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। অন্যদিকে শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রী সুবিধার্থে বসানো হয়েছে চারটি অতিরিক্ত ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড। স্টেশনে পৌঁছনোর পর যাতে রেল যাত্রীদের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুধু ট্রেন বৃদ্ধি বা টিকিট কাউন্টার বৃদ্ধি নয়, টিকিট পরীক্ষকের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে পুজোর জন্য। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় একাধিক স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।