দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া শাখায় ট্রেন চলাচলের ধারাবাহিকতা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন লেট, লোকাল ট্রেন বাতিল সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু হাওড়া-বর্ধমান এবং হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় তেমন অভিযোগ কম। নিয়মিত ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসবের সময় অতিরিক্ত ট্রেনও চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে এমনই উদ্যোগ নিল পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশন। কবে কোন কোন স্টেশনের মধ্যে চলবে অতিরিক্ত ট্রেন? জানতে হলে দেখতে থাকুন ভিডিয়োর শেষ পর্যন্ত-
চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে হাওড়া ব্যান্ডেল এবং হাওড়া বর্ধমান মেন শাখায় অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রেনগুলি চলবে।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য চন্দননগরে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। হাওড়া ও বর্ধমান থেকে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সেই কারণে ভিড় সামাল দিতে বিশেষ EMU ট্রেন চালানো হবে। এবং ওই স্পেশাল ট্রেনগুলি সব স্টেশনে দাঁড়াবে।
৮ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চারজোড়া স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে হাওড়া থেকে ব্য়ান্ডেল পর্যন্ত যাবে ট্রেনগুলি। ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে ছাড়বে বিকেল ৫টা ২০, সন্ধে ৭টা ৫৫, রাত ৮টা ৩৫ এবং রাত ১১টা ৩০-এ।
৯ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টায় একটি করে লোকাল ট্রেন ছাড়বে। এই ট্রেনটিও ব্যান্ডেল পর্যন্ত যাবে।
ব্যান্ডেল থেকে হাওড়া পর্যন্ত তিন জোড়া ট্রেন চলবে ৮ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। ট্রেনগুলি ছাড়বে সন্ধে ৬টা ৩৫, রাত ৯টা ২০, রাত ৯টা ৫৫-তে।
অন্যদিকে হাওড়া থেকে বর্ধমান পর্যন্তও একটি স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ৯ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত রাত ১টায় এবং রাত ২টোয় ছাড়বে।
বর্ধমান থেকে হাওড়া পর্যন্ত রাত রাত সাড়ে ১০টায় একটি করে স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। ৮ তারিখ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রেনগুলি চলবে।
একটি আপ হাওড়া-বর্ধমান EMU স্পেশাল ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়বে রাত ১টা ১৫ মিনিটে।
৩৬০৮৭ হাওড়া-মশাগ্রাম লোকাল ট্রেন (হাওড়া থেকে ছাড়বে সন্ধে ৭টা ২৭-এ) ৮ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রেনটি বর্ধমান পর্যন্ত চালানো হবে। একটি বর্ধমান-হাওড়া বিশেষ ট্রেন একই দিন রাত ১০টা ১০-এ ছাড়বে এবং ব্যান্ডেল হয়ে হাওড়া পৌঁছবে।
রেলের আধিকারিকদের ধারণা, পুজোর চারদিন যে বিপুল ভিড় হবে চন্দননগর, মানকুণ্ডু সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তা এই বিশেষ ট্রেনগুলি চালানোর ফলে অনেকটাই সামাল দেওয়া যাবে।