তিনি যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢুকলেই, তাঁকে ঘিরে থাকতেন ছাত্র-ছাত্রীরা । আজও,বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেই ছবি । তাঁদের প্রিয় 'স্যমন্তক দা' (Samantak Das )-কে ঘিরে রয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা । তবে, পার্থক্য একটাই সবসময় চনমনে প্রিয় স্যার আজ নিশ্চুপ,চিরঘুমে । বৃহস্পতিবার, প্রিয় স্যারকে চোখের জলে বিদায় জানাল যাদবপুর (Jadavpur University) ।
এদিন, স্যমন্তক দাসকে ( Last rites of Samantak Das) শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিলেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটে প্রথমে তাঁর দেহ আনা হয় । সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকরা । এরপর তাঁর দেহ আনা হয় অরবিন্দ ভবনে । সেখানে শেষ বিদায় জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্যরা । সেখান থেকে তাঁর দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । গানে গানে তাঁকে বিদায় জানায় যাদবপুর ।
আরও পড়ুন, Samantak Das: যাদবপুরের সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাসের অস্বভাবিক মৃত্যু, শ্রদ্ধা পড়ুয়াদের
এদিন বৃষ্টিভেজা পথে ,মন খারাপের দিনে, প্রিয় স্যমন্তকদার ছবি নিয়ে হাঁটলেন পড়ুয়ারা । ছবিতে তখন জ্বলজ্বল করছে লেখা, 'স্যমন্তক দা, তুমি যাদবপুরের হৃদয়ে থাকবে ।'
বুধবার দুপুরে রানিকুঠির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্যমন্তক দাসের দেহ। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৫৭ বছরের অধ্যাপককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । অধ্যাপকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়ে যায়। পড়ুয়াদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল স্যমন্তক দাসের। যাদবপুরের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মী সব মহলেই ছিল তাঁর জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা। তাঁর আচমকা মৃত্যুর খবরে রীতিমতো ভেঙে পড়েন অনেকেই।