অনশনের দ্বিতীয় দিনেও অচলাবস্থা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College)। দুপক্ষের বৈঠক-আলোচনা হলেও এখনও কোনও সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি। যার জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে পরিষেবা (Students Protest in Medical College)। এবার প্রশ্ন উঠল সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ থাকা নিয়ে। মঙ্গলবার চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল এই সেন্ট্রাল ল্যাব। কিন্তু কার নির্দেশে তা বন্ধ রাখা হয় তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস।
ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ নিয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই কমিটিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ঘেরাও চলাকালীন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে, যে কারণে অশান্ত মেডিক্যাল কলেজ সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মারাত্মক ঘটনা খড়গপুর স্টেশনে, লাইনে ছিটকে গেলেন টিটিই
শুক্রবার বিকেলে কলেজ কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। এত দিন কলেজে কী কী ঘটনা ঘটেছে তা ওই বৈঠকে কাউন্সিলকে জানানো হয়েছে। এমনকি ছাত্রদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাঁদের অনশন ভাঙাবার চেষ্টা করা হবে বলেও কাউন্সিলকে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। যদিও এই বৈঠককে মান্যতা দিতে নারাজ অনশনকারীরা। তাঁদের দাবি, বৈঠকে তাঁদের প্রতিনিধিকেও রাখার নিয়য় রয়েছে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল(Students Protest in Medical College)। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ পরিষেবা । অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ চালানো হয় ।
সোমবার থেকে রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় অধ্যক্ষ, এমএসভিপি-সহ বাকি বিভাগীয় প্রধানদের । অসুস্থ হয়ে পরেন তাঁরা । হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীদেরও । অবশেষে বুধবার মধ্যরাতে ঘেরাও থেকে মুক্তি পান তাঁরা ।