তৃণমূল জঙ্গি সংগঠন। তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত। গ্রেফতার করা উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সন্দেশখালি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর অভিযোগ, গোটা রাজ্য যে জতুগৃহতে পরিণত হয়েছে, তার প্রমাণ এদিনের সন্দেশখালি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ভোটে হারের ভয়ে সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারের পর সন্দেশখালি নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, মল্লিকপুকুর এলাকা থেকে উদ্ধার অস্ত্রের পিছনে রয়েছে পুলিশের হাত। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের মদতেই এই অস্ত্র ঢুকেছিল সন্দেশখালিতে। তাই অবিলম্বে রাজ্যের তিন পুলিশ কর্তার গ্রেফতারি দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পাল্টা তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, কোচবিহার এবং বালুরঘাটে ভোটের ফলে পতনের ইঙ্গিত বুঝেই সন্দেশখালি নিয়ে নাটক করছে বিজেপি। এই ঘটনায় বাংলাকে অপমান করা হয়েছে বলেই দাবি কুণাল ঘোষের। তাঁর মতে, বিজেপিকে সন্দেশখালি এর জবাব দেবে।
এদিকে সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, শাহজাহানের ডেরা থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক আরডিএক্স। যদিও উদ্ধারের প্রাথমিক তালিকায় বিস্ফোরক নিয়ে কোনও তথ্যের উল্লেখ করেনি সিবিআই।