শ্রীরামপুর হত্যাকাণ্ডে(Sreerampore Murder Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই অবাক হচ্ছেন পুলিশকর্তারা। এবার তাঁদের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরায় মূল অভিযুক্ত সুবীর অধিকারী জানায়, চলতি বছরেও সে একজনকে খুনের চেষ্টা করেছিল। তবে কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যক্তি। এখানেও সামনে আসে স্ত্রী শর্মিষ্ঠার প্রতি আক্রান্ত যুবকের আসক্তির কথা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শর্মিষ্ঠাকে প্রেমের প্রস্তাব(Love affairs) দেওয়া ওই ব্যক্তিকে চপার দিয়ে কুপিয়েছিল সুবীর। যুবকটি প্রাণে বেঁচে গেলেও সুবীর জেল খাটে। গত মাসে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে সে।
পেশায় গাড়িচালক সুবীর জেল থেকে বেড়িয়ে যে শুধরে যায়নি, তা আরও একবার প্রমাণ হল পানিহাটির যুবক শুভজিৎ বসু খুনের(Subhajit Basu Murder Case) ঘটনায়। টানা পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে মূল অভিযুক্ত। কীভাবে শুভজিৎকে সে ঠান্ডা মাথায় খুন করে, তার বর্ণনা দেয় সুবীর।
জানা গেছে, ১ মে কোন্নগরে(Konnagar) ডাকা হয়েছিল শুভজ্যোতিকে। সেখানকার একটি ইটভাটায় সুবীর এবং শুভজ্যোতি মদ্যপান করে। এরপর তারা কোন্নগরের গঙ্গার ঘাটে যায়। সে সময়ই শুভজ্যোতিকে খুন করে সুবীর। শুভজ্যোতির গলায় চপার চালিয়ে ধড় থেকে দেহ আলাদা করে দেয় অভিযুক্ত। মুণ্ডটি গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেয় সুবীর৷ পরে দেহটি প্লাস্টিক মু়ড়ে ট্রলি ভ্যানে চাপিয়ে শ্রীরামপুরে(Sreerampore) দিল্লি রোডের ধারে সেল কারখানার পাঁচিলঘেঁষা নর্দমায় ফেলে দেয়। পরের দিন সেই মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ(Sreerampore Police Station)।