তিনিও সুজন, তিনিও চক্রবর্তী। কিন্তু তিনি সিপিএম নেতা নন। গত সোমবার সামনে এসেছিল ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তালিকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, দিলীপ ঘোষদের পাশে নাম ছিল সুজন চক্রবর্তীর। এই তালিকা সামনে আসার পর হই হই শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দাবি করে, নাম বিভ্রাট ছাড়া আর কিছুই নয়। যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা সবাই পরীক্ষার্থী। অবশেষে সেই দাবি মিলে গেল। খোঁজ পাওয়া গেল টেট উত্তীর্ণ সুজন চক্রবর্তীর।
উত্তর ২৪ পরগনার কামারথুবার বাসিন্দা সুজনের জীবনও বদলে গিয়েছে গত সোমবারের পর থেকে। ঘন ঘন বেজেছে তাঁর মোবাইলের ঘণ্টি। আর একটাই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে বিরক্ত স্থানীয় স্কুলের সহযোগি শিক্ষক সুজন চক্রবর্তী। অবশেষে ক্যামেরের মুখোমুখি হয়ে সুজন জানালেন, গত সোমবার তালিকা প্রকাশের পর থেকে তাঁর ফোন বেজেই চলেছে। আর তিনিই রাজনৈতিক নেতা সুজন চক্রবর্তী কিনা, তাই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে।
ছোট একটা বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন সুজন। চাকরি করেন, স্থানীয় একটি স্কুলে। সুজন জানালেন, ২০১৪ সালে তিনি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর কোনও এসএমএস পাননি। তবে, মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। তাঁকে জিগেস করা হয়েছিল তিনি চাকরি করার ব্য়াপারে আগ্রহী কিনা। শুধু সুজন নন, নাম বিভ্রাটে ভোগান্তি বেড়েছে হাবরার চক্রবর্তীদের বাড়িতেও। বাবা থেকে মা সবাইকে এক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছেন, এই সুজন তাঁদের ছেলে। তাঁর সঙ্গে কোনও রাজনীতির সম্পর্ক নেই।