শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রোমোটার অয়ন শীলকেও। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতারের পর ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনু-কুন্তল বা অয়ন চাকরির টোপ দিয়ে টাকা তোলার চক্র চালাতেন। সেই চক্রে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন কালীঘাটের কাকু।
ইডি সূত্রে দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অঙ্গুলিহেলনেই সরাসরি ঘনিষ্ঠদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন কুন্তলরা। এক সময় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলই প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম প্রকাশ্যে আনেন। ইডি সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে মোবাইলের সব নথি লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন সুজয়। সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের সব নথি নষ্ট করার কাজ শুরু করেন তিনি। সুজয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সব তথ্যই উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে।
বুধবার আদালতে সুজয়কে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর জেরা চালাচ্ছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়ের নির্দেশে ২৬ কোটি টাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মহেশতলার বাসিন্দা ও তৃণমূল নেতা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে পৌঁছে দিতে বলেন কুন্তল ঘোষ বা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে বহু দালালচক্রের মাধ্যমে সক্রিয় ছিল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। ইডি সূত্রে খবর, প্রয়োজনে সুজয়কে সন্তুর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।