বহরমপুর হত্যাকাণ্ডে(Berhampore Murder Update) ধৃত ছাত্র সুশান্ত চৌধুরীকে যত দেখছেন, ততই অবাক হচ্ছেন পুলিশকর্তারা। এবার বাবার পাঠানো উকিলকে ফেরত পাঠিয়ে দিল সুশান্ত। দশদিনের পুলিশ হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার তাকে মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হয়। সেখানে তদন্তের(Sutapa Chowdhury Murder Update) স্বার্থে তার আরও দু'দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক অপর্ণা চৌধুরী। যদিও চারদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার।
ছেলের হয়ে মামলা(Sutapa Chowdhury Murder Update) লড়ার জন্য সুশান্তর বাবা নীহার চৌধুরী বহরমপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবি জয়দেব মণ্ডলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে ফোনে যোগাযোগ করেন। মামলা লড়ার প্রস্তুতি নিয়ে আদালতে যান ওই আইনজীবি। কিন্তু ওকালতনামায় সাক্ষরের জন্য আদালতে সুশান্তর বাড়ির লোক কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে ওই আইনজীবী কোর্ট লকআপে সুশান্তর(Sushanta Chowdhury) সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর জুনিয়র আইনজীবীর মাধ্যমে। সেই সময়ই তা প্রত্যাখ্যান করে সে। পরে বোঝানোর পর কার্যত নিমরাজি হয়ে ওকালতনামায় সাক্ষর করে সুশান্ত।
জয়দেব মণ্ডলের কথায়, “সুশান্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আমি চাই না আমার হয়ে কেউ মামলা(Sutapa Chowdhury Murder Update) লড়ুক। বিচারে জেল হলে হবে। প্রয়োজন হলে পরে কথা বলবো। বাড়ি থেকে বাবা মা যেন এখানে না আসে। আমি পরে তাঁদের সঙ্গে আপনার মাধ্যমে যোগাযোগ করে নেব।” তবে পুলিশের বিরুদ্ধে সুশান্তর কোনও অভিযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন ওই আইনজীবি।