এতদিন পর্যন্ত পরিবারের (Family) দাবি ছিল, বহরমপুরে (Baharampor) খুন হওয়া কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর (Sutapa Chowdhuri) সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল, এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর (Susanta Chowdhuri)। কিন্তু সোমবার কার্যত অন্য সুর শোনা গেল নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা (Father) স্বাধীন চৌধুরীর গলায়। এদিন বহরমপুর থানায় আসেন তিনি। এই প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুলে তিনি জানান, সুতপার সঙ্গে সুশান্তর বন্ধুতার সম্পর্ক ছিল। পরে যা ভেঙে গিয়েছিল।
কিন্তু এই কথা এতদিন ধরে নিজের মনে মধ্যে কেন আটকে রেখেছিলেন স্বাধীন চৌধুরী (Sadhin Chowdhuri)। কেন বারবার অস্বীকার করছিলেন সুতপা-সুশান্তের সম্পর্কের কথা। আসলে গত কয়েকদিন আগেই সোশাল সাইটে (Social site) ভাইরাল (Viral) হয় সুশান্ত-সুতপার বেশ কিছু ছবি। যেখানে দৃশ্যত্ব স্পষ্ট হয়, তাঁদের ঘনিষ্ঠতা কতখানি সেই বিযয়টি। এরপরেই সুতপা-সুশান্তের সম্পর্কের কথা কার্যত মেনে নিতে বাধ্য হলেন সুতপার বাবা। কারণ, এই ছবি দেখিয়ে মালদহের (Maldhah) বাড়িতে পুলিশ তাঁকে প্রশ্নও করেছিল। এদিন তিনি জানান, তাঁর মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তা অনেকদিন আগের। তাঁর দাবি, এই ছবি প্রায় বছর তিনেক আগের। স্বাধীন চৌধুরীর মতে, তখন ওদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল, সেই সময়কার ছবি। বছর দেড়েক আগে ওই সম্পর্ক ভেঙে যায়। সেই ছবিই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার মেয়ে ওর থেকে মুক্তি চাইছিল। কারণ, ছেলেটির ব্যবহার-আচরণ আমার মেয়ের কাছে ভাল লাগত না। তাই সে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা বহু পুরনো।
মূলত সুতপার খুনের তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা জানতেই এদিন বহরমপুর থানায় এসেছিলেন স্বাধীন চৌধুরী। একইসঙ্গে মেসে থাকা সুতপার জিনিষও নিয়ে যান তিনি। থানা থেকে তাঁকে বলা হয়েছে, তদন্ত প্রায় শেষের পথে। গত কয়েকদিন ধরেই সুতপার পরিবারের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে সুশান্ত। এদিন তা খারিজ করে দিয়েছেন স্বাধীন চৌধুরী। এই ব্য়াাপরে স্বাধীন বাবুর বক্তব্য, সুশান্তকে মানসিক চাপ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন আসে না। আর ওই রকম ছেলের সঙ্গে কথা বলার রুচিও হত না।