২২ তম স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। বুধবার রাজ্যপালকে শপথ বাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই পদত্যাগী বিধায়কের পাশে আসন পেয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট হন তিনি, রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে একারণেই অনুপস্থিত থাকেন তিনি।
এদিন টুইট করে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘সাংবিধানিক অনুষ্ঠানেও রাজনীতি করছে তৃণমূল সরকার।’ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি শুভেন্দু।
শুভেন্দু আরও জানান, রাজভবনের গেট থেকে ফিরতে হয়েছে তাকে ও সুকান্ত মজুমদারকে। অপমান করার জন্যই এমন আসন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে লম্বা পোস্ট লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: 'মুখ্যমন্ত্রী কেন আসেন না?',বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের
সরাসরিই শুভেন্দু লেখেন, “আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। বিভাগীয় মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই উক্ত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বসার স্থান নির্ণয় করা হয়েছে।
বিরোধী দলনেতার বসার আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। এই দুজনেরই বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি চলছে। আগামী দিনে এরা বিধায়ক থাকবেন কিনা সংশয় রয়েছে।
এনারা বিজেপির টিকিটে জিতে এবং পদত্যাগ না করেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।আসলে এটা আর কিছু নয়, অভদ্র ও নিকৃষ্টতম রাজনীতির একটা বড় নিদর্শন। আসলে 'কম্পার্টমেন্টাল' মুখ্যমন্ত্রী 'নন্দীগ্রামের ১৯৫৬'-এর বেদনা থেকে এইসব করছেন।”