মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালায় রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ইবি কর্তারাও। মানিকতলা বাজারে(Maniktala Bazar) দামের মাত্রা ঠিক রাখার বার্তা দেন তাঁরা। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বেঁধে দেওয়া দামেই বিক্রি করতে হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। একথা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেয় টাস্ক ফোর্স(Task Force)।
শুক্রবার লেক রোডে বাজার করতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টাস্ক ফোর্সের এই অভিযান সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন অভিনেতা অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়(Arindam Ganguly)। তাঁর কথায়, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের এই অভিযান জরুরি ছিল।
লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে(Price Hike) নাজেহাল মধ্যবিত্তের জীবনযন্ত্রণা কমাতে পদক্ষেপ নিল রাজ্য। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজারগুলিতে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে(Enforcement Branch) নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ফল, সব্জিতে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দেওয়ার কথাও জানান তিনি। ‘সুফল বাংলা’র(Sufal Bangla) আউটলেট থেকে বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে মিলবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। শুক্রবার থেকেই সুফল বাংলার স্টলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যাবে নবান্নের(Nabanna) নির্ধারিত দামে। জানা গেছে, একমাস পর ফের টাস্কফোর্সের বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
রমজান(Ramadan) মাস উপলক্ষে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, খেজুর, আঙুর, শশা, ছোলার মতো জরুরি খাদ্যসামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখতে হবে সুফল বাংলার স্টলে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে আলু কিংবা ছোলা নির্দিষ্ট পরিমাণ প্যাকেট করে বিক্রি করতে হবে। এই মুহূর্তে আমলাশোলে পেঁয়াজ তৈরি হচ্ছে। তা একান্ত ঘরোয়া পদ্ধতিতে চাষ। সেই সুখসাগর পিঁয়াজ নাসিক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের তুলনায় আরও কম দামে বিক্রি করা হবে বাজারে। কেজি প্রতি ১৫ টাকায় সুফল বাংলায় মিলবে সুখসাগর পেঁয়াজ।
বর্তমানে ৩৩২টি সুফল বাংলা আউটলেট তৈরি করা হয়েছে রাজ্যে। বাজারদরের তুলনায় এখানে কমদামে সব্জি ও ফল পাওয়া যায়। মূল্যবৃ্দ্ধি নিয়ন্ত্রণে আউটলেটগুলির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী(CM Mamata Banerjee)। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সুফল বাংলা স্টল চালু আছে। বাজারদরের থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে সুফল বাংলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫০০টি আউটলেট আনা হবে বলে প্রস্তাব রাখা হয়েছে এই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেট্রোল ও ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির (Petrol Diseal Price Hike) জেরে ইতিমধ্যেই বাজারে অগ্নিমূল্য মাছ (Fish)। লাগাতার জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে মাছভাতে বাঙালির হেঁশেলে সরাসরি প্রভাব পড়ছে। হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, গত কয়েকদিন ২০-৩০ শতাংশ মাছের দাম বেড়েছে। যার জেরে বাজারের থলি হাতে নিয়ে বেরোলেও মাছ ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে।
শুধু মাছ নয়, ধীরে ধীরে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস(Chicken)। কোথাও ২৫০ টাকা, আবার কোথাও বা ৩০০ টাকায় বিকোচ্ছে পোলট্রির মুরগি। ফলে রবিবারের ছুটিতে কবজি ডুবিয়ে মাংস খাওয়ার স্বপ্ন দেখা ভুলতে বসেছে সাধারণ মধ্যবিত্ত। মাছ-মাংস ছাড়াও সব্জি বাজারে আগুন লাগায় প্রমাদ গুণছে মধ্যবিত্ত বাঙালি।