গরমের দাপটেই স্কুলগুলোয় ৪৫ দিনের গরমের ছুটির (Summer Vacation) পরেও ফের ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে ছুটি। সেই গরমই কিন্তু কমতে চলেছে। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা, দক্ষিণবঙ্গেও প্রবেশ করার মুখে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ রেখে গরমের ছুটি বাড়ানোর কী দরকার, সেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে অবিলম্বে স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক (Teachers and guardians)।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় অংশের বক্তব্য, বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে স্কুল খুলে দেওয়া হোক। একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের মত, তাঁরা স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুত। প্রথম দফায় গরমের ছুটি ১৫ মে থেকে এগিয়ে এনে ২ মে করার পরেই তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। অনেকেরই প্রশ্ন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস মাথায় রেখে কি ছুটি দেওয়া হচ্ছে? নাকি খামখেয়ালি পদ্ধতিতেই ছুটি দিচ্ছে সরকার?
Bansdroni murder update: জেলে গেলে থাকা-খাওয়া নিশ্চিত, তাই দাদার মৃত্যুর পর খুনের 'নাটক' ভাইয়ের
শিক্ষক শিবিরের যুক্তি, সরকার যদি এক দিনের নোটিসে ছুটি বাড়িয়ে দিতে পারে, তা হলে সেটা কমাতেও পারে এক দিনের নোটিসে। এই আবহাওয়া দেখে অবিলম্বে স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হোক।
স্কুল বন্ধ প্রায় দু’মাস। এত দীর্ঘ ছুটির ফলে পড়ুয়াদের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। এছাড়া মানসিক অবসাদেরও শিকার হচ্ছে পড়ুয়ারা। প্রতি বছর তো ছেলেমেয়েরা গরমের মধ্যে স্কুল করে। এ বার কী এমন হল যে, গরমের জন্য এত লম্বা ছুটি দিতে হচ্ছে? অভিভাবক মহলেও এমন প্রশ্ন ঘুরছে।