কেমন করে সাজবে আগামীর পাহাড় ? মঙ্গলবার জিটিএ-এর শপথ অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে তার রূপরেখা তৈরি করে দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানিয়েছেন, পর্যটনের সঙ্গেই পাহাড়ে গড়়ে তোলা হবে কর্মসংস্থান। যেখানে অগ্রাধিকার পাবেন মহিলারা। তিনি জানিয়েছেন, সিলিকন ভ্যালির মতোই পাহাড়েও তৈরি করা হবে তথ্য-প্রযুক্তি হাব। তবে এই ব্য়াপারে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মমতা।
আগামী দিনে ২০০ একর জমির উপর পাহাড়ে তৈরি হবে শিল্পনগরী। ঝরনার জলকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে বোটলিং প্ল্যান্ট। ফুটপাত থেকে সরিয়ে হকারদের জন্য নতুন দোকান তৈরি করে দেবে সরকার। শিল্পের পাশাপাশি শিক্ষার প্রসারে পাহাড়কে কলকাতার মানচিত্রে যোগ করার কথা এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, মংপুতে হবে হিল বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করবে প্রেসিডেন্সি। ডাওহিলে তৈরি হবে এডুকেশন হাব।
পর্যটক টানতেও একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা এদিন ঘোষণা করেছেন মমতা। তার মধ্যে আছে চা বাগানের মধ্যে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা। কার্শিয়ং থেকে রোহিনী পর্যন্ত হবে রোপওয়ে। মিরিককে ইকো-টুরিজমের আওতায় আনা হবে। একইসঙ্গে পাহাড়ের মহিলারা গাড়ি কিনতে চাইলে, তাঁদের আর্থিক ভাবে লোন দিয়ে সাহায্য করবে সরকার।