সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। সিবিআই সূত্রে সোমবার এই খবর জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে লালনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। সূত্রের খবর, রামপুরহাটের সিবিআই ক্য়াম্পেই রাখা আছে দেহ। এই মাসের গোড়ায় বগটুইয়ের ঘটনার মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গত চার ডিসেম্বর তাকে তোলা হয় রামপুরহাটের বিশেষ আদালতে। তারপর থেকে সিবিআই হেফাজতেই ছিল তৃণমূলের এই জেলার নেতা। লালনের বিরুদ্ধে বগটুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। এদিকে, বীরভূম জেলা পুলিশ জানিয়েছে, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করবে জেলা পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধেয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। এরপর রাতে বগটুইতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত মার্চ মাসের ঘটনা । তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় নয় মাস । অবশেষে সিবিআইয়ের (CBI) জালে ধরা পড়েছিল বীরভূমের (Birbhum) বগটুই (Bogtui Murder Case) গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখ । বগটুইয়ের ঘটনায় নিহত তৃণমূল (TMC) নেতা ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী লালন শেখের দীর্ঘদিন কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না । অবশেষে গত শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় । রবিবার তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় ।
বগটুই-কাণ্ডে এর আগেও একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই । লালনের আগে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছে সোনা শেখ । অন্যতম চক্রী আনারুল শেখকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।