স্কুলের একটা প্রশ্ন। তা নিয়েই এখন শোরগোল। দাবানলের মতো গিলে খাচ্ছে সোশাল মিডিয়াকে। কী আছে সেই প্রশ্নে ? দেড় হাজার এবং হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন শুভেন্দু এবং নওশাদ। এক বছর পর ৭৫ টাকা ক্ষতি হলে শুভেন্দুর ক্ষতি কত ? উত্তরে চারটি অপশন দেওয়া হয়েছে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই প্রশ্ন পূর্ব মেদিনীপুরের মহেশপুর হাই স্কুলের। যা নন্দীগ্রামের এক নম্বর ব্লকের বলেই দাবি করা হয়েছে। দশম শ্রেণির সামেটিভ অঙ্কতে এই প্রশ্ন করা হয়েছে। যদিও এই প্রশ্নে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেননি বলেই দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস দাসের। তিনি জানিয়েছেন, এই ভুলের জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
এমনকী দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক রাজীব মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি যে প্রশ্ন করে জমা দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে এই প্রশ্নের কোনও মিল নেই।
এই ব্যাপারে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রতিক্রিয়া, সোশাল মিডিয়ায় তিনি এই প্রশ্নের ছবি দেখেছেন। এমনকি দশম শ্রেণির অঙ্ক বইয়ের একটি নির্দিষ্ট পাতায় এই দুই নামের উল্লেখ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নওশাদ। তাঁর অভিযোগ, এটা যদি জেনে বুঝে রাখা হয়, তা-হলে অবশ্যই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
এই প্রশ্নের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কারণ, বিজেপির অভিযোগ রাজ্যের শিশু মনে রাজনীতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল।