পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আর কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। তাই আবাস যোজনার তালিকা এবার খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দিল রাজ্য। গ্রামের ভোটের আগে গ্রামের বাড়ি নিয়ে নতুন করে কোনও অভিযোগ উঠুক, তা চায় না সরকার। আর তা রুখতেই পুলিশকে নজরদারির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল। শুক্রবার এক বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য়সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
কারা পেতে পারেন আবাস যোজনায় বাড়ি ? ত্রিস্তরীয় পদ্ধতি এবার তা যাচাই করা হবে। প্রথমে যাবেন আশা কর্মীরা। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে স্থানীয়দের বাড়ি ঘুরে দেখবেন এলাকার ওসিরা। সবচেয়ে ময়দানে নামবেন জেলাশাসকরা। মূলত জেলাশাসকদের চূড়ান্ত রিপোর্টের উপরেই আবাস যোজনার বাড়়ি বণ্টন করা হবে। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আগেই ঘোষণা করেছেন, নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্য়মে আবাস যোজনার বাড়ির তালিকা জানাতে হবে। তারজন্য এখন তৎপর প্রশাসন। কারণ, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র থেকে এক চিঠিতে নির্দেশ এসেছে, গ্রামসভাকে জানিয়েই আবাস যোজনার কাজ করতে হবে। কারণ অতি সম্প্রতি রাজ্য়ের আবাস যোজনার খাতে বকেয়া ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। এই টাকা যাতে কোনও ভাবে নয়ছয় না হয়, তা পঞ্চায়েত ভোটের আগে স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।