এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার রণক্ষেত্র হয়ে গেল সিউড়ি। স্থানীয় তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তন্ময় দাসের এদিন সকালে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের চাপেই আত্মহত্যা করেছেন তন্ময়। কারণ, একটি লটারির মামলায় নাম জড়িয়েছিল তন্ময়ের। পরিবারের অভিযোগ, এফআইআরে তন্ময়ের নাম ছিল না। কিন্তু পুলিশের চার্জশিটে নাম রাখা হয়েছিল। এদিন তন্ময়ের দেহ উদ্ধার করতে এলে প্রথমে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়। এরপরেই শুরু হয় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে একসময় চাকরি করতেন তন্ময়। কিন্তু লকডাউনের সময় তাঁর চাকরি চলে যায়। ফিরে আসেন সিউড়ির বাড়িতে। নতুন করে ব্যবস্থা শুরু করেন। পরিবারের দাবি, পুলিশের ক্রমাগত চাপে বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল তাঁদের ছেলে।
তন্ময়ের মৃত্যু প্রতিবাদে এদিন সিউড়ি-সাঁইথিয়া বাইপাস প্রথমে অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ সেই অবরোধ তুলতে গেলে অভিযোগ পুলিশকে লক্ষ করে ইট, কাচের বোতল ছোড়া হয়। যুবকের বাড়ির খুব কাছেই থাকেন সিউড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউ। তিনিও এই ঘটনায় কমবেশি আহত হন। পরে বিশাল বাহিনি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।