আসানসোলে কী শাপমুক্তি হবে ? হয়তো আর কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে ছবিটা। কারণ, প্রাথমিক ভাবে যা ইঙ্গিত তাতে হয়তো জোড়াফুলের উত্থান দেখতে পারে এই শিল্প শহর। আসানসোল বরাবর বামেদের দূর্গ বলেই পরিচিত ছিল। ২০১৪ সালে প্রথমবার পালাবদল দেখে এই শিল্প শহর। আবার হয়তো ২০২২ সালে উপনির্বাচনে পালাবদল হয়তো এখন সময়ের অপেক্ষা। সকাল থেকেই হাড্ডাহাড্ডি এই কেন্দ্রের গণনার ফল। মূলত যে কেন্দ্রগুলিতে গত লোকসভায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল, এবার দেখা যাচ্ছে সেই পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনি, জামুড়িয়াতে বিশাল ব্যবধানে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে তৃণমূল। বেলা গড়াতেই আসানসোলে বাড়ছে ব্যবধান।
উল্টোদিকে বালিগঞ্জে প্রত্যাশামতো ভাবেই এগিয়ে তৃণমূল। গণনা শুরুর আগেই অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় স্বীকার করেছেন মার্জিন কমলেও তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এবার বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৪১ শতাংশ। তাতেও দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের পালে এবারও ভোট শতাংশ অনেকটাই বেশি। তবে ওই কেন্দ্রে চমকের নাম সায়রা শাহ হালিম। যিনি এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। আর ভোটের দিন প্রচুর দৌড়ঝাঁপ করেও হতাশ করেছেন বিজেপির কেয়া ঘোষ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আনিশ হত্যা থেকে হাঁসখালির আগে পর্যন্ত রাজ্যে সাম্প্রতিক যা ঘটেছে, তার প্রভাব নেই উপনির্বাচনের ফলে। বরং আসানসোলে যদি পালা বদল হয়, তাহলে সেই মমতা ম্যাজিকই এগিয়ে থাকবে।