রাজ্যে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue) । আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । মৃত্যুও (Dengue Death) পর্যন্ত হচ্ছে । ছোট থেকে বুড়ো...ডেঙ্গির বলি হচ্ছেন সকলেই । চিকিৎসকরা সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন । কিন্তু জানেন কি, ডেঙ্গির নাকি আসলে সরাসরি কোনও চিকিৎসা নেই । এমনটাই বলছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (West Bengal Doctors Forum) । সম্প্রতি, ডেঙ্গি সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইউটিউবে শেয়ার করেছেন তাঁরা । ডেঙ্গির মশা, লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে টেস্ট, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করেছেন ডাক্তার তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ।
ডেঙ্গু আসলে একধরনের ভাইরাল জ্বর । মশাবাহিত । ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের । টাইপ ১, টাইপ ২, টাইপ ৩ আর টাইপ ৪ । এক এক বছরে এক এক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয় । জ্বরের ধরণও তার উপর নির্ভর করে ।
ডেঙ্গির মরসুমে যদি খুব জ্বর হয় কিংবা গা হাত-পা ব্যথা, মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি হলে ডেঙ্গি সন্দেহ করতে হবে । তারপর টেস্ট করালেই স্পষ্ট হবে ।
রোগীকে সবসময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে । কোনও বাড়াবাড়ি দেখলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
আরও পড়ুন, Monsoon Tips: বর্ষাকালে ঘরে সোঁদা গন্ধ, গুমোট ভাব! ঘরোয়া উপায়ে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দূর করুন, রইল টিপস
ডায়াগোনসিসের জন্য এনএস-ওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাতে হয় । এছাড়া ৫ দিন পর করাতে হয় IGIGM অ্যান্টিবডি । এছাড়াও প্লেটলেট কাউন্ট কিংবা শরীরে জল জমছে কি না, সেই বিষয়েও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখতে হবে ।
বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা বেশি করে জল খাওয়া । তবে, যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে, হার্টের সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে । যদিও ডেঙ্গির কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই । ডেঙ্গির কোনও অ্যান্টি ভাইরাস নেই, অ্যান্টিবডিও তৈরি করে না । তাই আসল চিকিৎসা হল সাপোর্টিভ । একটা ওষুধ দিলেই তা কমে যায় না । যাঁর যেমন সমস্যা, তাঁকে সেভাবে মেডিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া হয় । অর্থাৎ কারও খুব জ্বর আসলে প্যারাসিটামল দেওয়া, প্লেটলেট কমে গেলে প্লেটলেট দেওয়া ইত্যাদি ।
মশার প্রতিরোধ করতে হবে । বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে জল জমতে দেওয়া যাবে না । কোনও পাত্রে জল রাখলে তা বারবার জল ফেলে পাল্টাতে হবে । সামাজিক সচেতনতা প্রচার । মশা যাতে না কামড়ায়, সেই বিষয়ে সাবধান হতে হবে ।