পরীক্ষার্থী বাড়ল উচ্চমাধ্যমিকে। আর একধাক্কায় প্রায় চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমল মাধ্যমিকে। এই ঘটনাকে রাজ্যে পরীক্ষা পরিকাঠামোয় নজিরবিহীন বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফেব্রুয়ারি মাসের বাইশ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা দেবে প্রায় ৭ লক্ষ পড়ুয়া। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ১১ লক্ষ। মাধ্যমিক শেষ হলেই শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক। সেখানে পরীক্ষার্থী ৮ লক্ষের কিছু বেশি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এবার মাধ্যমিকের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী।
তবে এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার পিছনে অনেকগুলি ফ্যাক্টর কাজ করছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। করোনা পরবর্তী সময়ে এই পরীক্ষা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অফলাইনে ক্লাস না হওয়া এবং তেমন ভাবে প্রস্তুতি না হওয়াও অন্যতম কারণ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও ভর্তি সংক্রান্ত আইনে বিভ্রান্তির জেরেও পরীক্ষার্থী কমতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে গ্রামীণ শিক্ষা পরিকাঠামোকে কেন্দ্র করে। কারণ, গত একদশকের বেশি সময় দেখা গিয়েছে, শহরের তুলনায় অনেক বেশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে গ্রাম থেকে। এবার সেই সংখ্যাটা বেশ কম বলেই দাবি করা হয়েছে। এদিকে মাধ্যমিকে কমলেও, উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী বাড়ার কারণ কী? সংসদের যুক্তি, করোনার সময় ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ১০০ শতাংশ পাশ করেছিল। তাদের সিংহভাগই এবার উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছে। অন্য বোর্ডের কিছু পড়ুয়াও রাজ্য বোর্ডে ভর্তি হয়েছে। তাই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।