মাওবাদী (Maoist) সন্দেহে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থেকে ধৃত টিপু সুলতান এবং অর্কদীপ গোস্বামীকে আটদিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার তাঁদের খাতড়া আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ধৃতরা দাবি করেছে, তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ পাল্টা জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার শান্তিনিকেতন থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র টিপুকে। বোলপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয় অর্কদীপকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের জন্য জমায়েত, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতি, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ এবং সরকারি কাজের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বিশদ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে টিপুর বাবা শেখ কামালউদ্দিনের দাবি, হেনস্থার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগে বোলপুরের বাড়ি থেকে তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওর সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি টিপুর বাবার।
এরআগে ২০১৬ সালে বেলপাহাড়ি এবং ২০১৮ সালে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। অপর ধৃত অর্কদীপকেও ২০১৮ সালে গ্রেফতার করেছিল গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। দু’টি ক্ষেত্রেই ওই দু’জনের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগের অভিযোগ ছিল। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বাঁকুড়ার বারিকুল থানা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার সাঁটাতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন শিবু মুর্মু-সহ আরও এক সন্দেহভাজন মাওবাদী। সেই ঘটনায় টিপু এবং অর্কদীপের ‘সরাসরি’ যুক্ত থাকার ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ।