রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। ওই সমাবেশ উপলক্ষ্যে জেলা থেকে হাজার হাজার কর্মী, সমর্থক আসছেন কলকাতায়। লঞ্চ, ট্রেন, বাসে করে সভাস্থলে পৌঁছবেন তাঁরা। শুক্র এবং শনিবার উত্তরবঙ্গ সহ দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার কর্মী কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, সেন্ট্রাল পার্ক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রবিবারও সকাল থেকে চেনা ছবি ধরা পড়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ধর্মতলামুখী হয়েছেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। সকাল থেকে একের পর এক ট্রেন ঢুকতেই হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পায়ে হেঁটে এবং কেউ কেউ লঞ্চে করে গঙ্গা পেরিয়ে সভাস্থলের দিকে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর থেকে লঞ্চে করে রওনা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁরা সেখান থেকে সরাসরি কলকাতায় লঞ্চে করেই আসবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বাসে করে দূর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, মন্তেশ্বর সহ একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূল সমর্থকরা কলকাতায় পৌঁছেছেন।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে খাওয়ার ব্যবস্থা করলেও অনেকেই রান্নাও শুরু করেছেন। মেয়ো রোড সহ বিভিন্ন জায়গায় রীতিমতো রান্না করে খাবার বানাচ্ছেন অনেকেই। সকাল থেকেই ভিড় রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া সহ সংলগ্ন এলাকায়। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে অনেকেই কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার ভোর থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে কলকাতার একাধিক রাস্তায়। কলকাতা পুলিশ শনিবার এই সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করেছিল শনিবার। সেখানে জানানো হয়েছিল আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, বিধান সরণি, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্রান্ড রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং CIT রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এমনকি প্রয়োজনমতো অন্য কয়েকটি রাস্তাতেও যাতায়াতের অভিমুখ বদল করা হতে পারে।