শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই কার্যত জোর ধাক্কা। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল তৃণমূল। বদলে দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে মাটি শক্ত করল কংগ্রেস।
এদিন তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না। আস্থা ভোটে তৃণমূলের সদস্যরা অনুপস্থিত থাকায় বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। তলবি সভা থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, 'ঝালদায় তৃণমূলের পতন হল।' ইতিমধ্যেই পুরসভা দখলের খুশিতে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস। যে মিছিলে স্লোগান ওঠে নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামে।
গত মাসে ঝালদা পুরসভার ১২ আসনের মধ্যে ছ'জন কাউন্সিলরই পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এরপরে তৃণমূল ছাড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। যিনি নির্দলের আসনে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে মাটি শক্ত হয় বিরোধীদের। তাঁদের সংখ্যা ৬ থেকে বেরে ৭ হয়। বেকায়দায় পড়ে যায় শাসকদল তৃণমূল। তখনই বোঝা যায় শাসকদলের হাতছাড়া হতে চলেছে ঝালদা পুরসভা।
গত মার্চ মাসের ১৩ তারিখ ঝালদা শহরের অদূরে গোকুলনগর এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। অভিযোগ ওঠে স্থানীয় থানার আইসি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিট গঠন করা হয়। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবার সিবিআই তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। গত ৪ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
তপন খুনের পর সেই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু। ২ নম্বর ওয়ার্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার গোটা পুরসভাই হাতছাড়া হল শাসকদলের।