বাংলার মসনদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর দাবি আর কানাঘুষো রইল না। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ২০২৬ সালের আগে সংগঠনে ব্যাপক রদবদল চান অভিষেক নিজেই। সেই কারণে জেলা থেকে কলকাতা, পক্ককেশের বদলে তরতাজাদের জন্য সওয়াল করেছেন তিনি। হয়তো আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই তাঁর ইচ্ছা মত সেই রদবদল হবে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে।
তার আগে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি, এবার বাংলার মসনদে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিলম্বে আশা উচিত। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হিসাবেও অভিষেককেই দেখতে চান। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্মান করতে তাঁর এই দাবি নয় বলেও জানিয়েছেন হুমায়ুন।
বঙ্গ রাজনীতিতে কথিত আছে, এই কবীর মুখ খুললেই তৃণমূলের ঘরে এবং বাইরে বিতর্ক তৈরি হয়। এবার তাঁর এই উবাচে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হবে কীনা, তা দেখতে চায় রাজনৈতিক মহল। তাদের দাবি, অভিষেক সম্পর্কে এই দাবি খুব সুকৌশলে এসেছে।
অভিষেকের হয়ে ব্যাট ধরতে গিয়ে কী দাবি করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক ? তাঁর দাবি, ফুলটাইমের একজন পুলিশমন্ত্রী থাকলে, তাঁর মনে হয়, নজর এড়িয়ে কোনও অপরাধ সংগঠিত হবে না। রাজনৈতিক মহলের মতে এই দাবি মধ্যে হুমায়ুন মূলত আরজি করের ঘটনাকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যে বেড়েছে দুষ্কৃতী হামলার সংখ্যাও।
হুমায়ুন জানিয়েছেন, অনেক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী এত ব্যস্ত থাকেন, ইচ্ছা করলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না, নিজেদের আবেদন নিবেদন সময় মতো পৌঁছে দিতে পারেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকটা দায়িত্ব নিয়ে নিলে, বাংলার মানুষ অনেকটা উপকৃত হবেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের মসনদে অভিষেককে অবিলম্বে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান তৃণমূলের এই বিধায়ক।
হুমায়ুনের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব নিলে বাংলার মানুষ উপকৃত হবেন। এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলেরও ভাল হবে বলে মনে করেন ভরতপুরের এই বিধায়ক। কিন্তু এই দাবি কী হুমায়ুনের নিজস্ব ?
ইতিমধ্যেই ভরতপুরের বিধায়কের এই দাবির সঙ্গে তৃণমূল একমত নয় বলেই জানিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, বারবার একটা কথা স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, দলে কথা দলের মধ্যেই বলতে হবে। তা বাইরে বললে হয়তো মিডিয়ার প্রশংসা পাওয়া যায়, তাতে দলের গ্রহণযোগ্যতা মেলে না। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হুয়ামুন কবীর যে দাবি করেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত বলেই জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।