আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(Alia University) উপাচার্য নিগ্রহে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার দায় ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেললো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। দু'বছর আগেই এই ছাত্রনেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে রবিবার বিবৃতি দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ(TMCP)। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মন্ডলকে। সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মীকে হেনস্থা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয় ওই নেতার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হেনস্থার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করলেন জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankhar)।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য(Trinankur Bhattacharjee) জানান, ‘যে ব্যক্তিকে উপাচার্যের উপর আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে ২০১৮ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের(TMCP) থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও রকম সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন- Aliah University: আলিয়ার উপাচার্যকে হেনস্থা করা বহিষ্কৃত ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ
তবে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। টুইটে তিনি লেখেন, ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা? মোটেও না, তথাকথিত 'বাংলার মেয়ের' শাসনকালে, এটাই এখন বাংলার সংস্কৃতি... উপাচার্যকে ঘেরাও করা, বিক্ষোভ দেখানো, এ রাজ্যে নতুন নয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়শই এমন ছবি দেখা যায়। কিন্তু, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের(Alia University) ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।'