ইদের আগের দিন সন্ধেবেলা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় খুন হন কলেজ পড়ুয়া সুতপা চৌধুরী। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় 'সুতপার প্রেমিক' বলে নিজেকে দাবি করা সুশান্ত চৌধুরীকে। গত দু'সপ্তাহ ধরেই এই খবর নিয়ে চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে সুতপার সঙ্গে সুশান্ত'র কোনও সম্পর্ক ছিল না। এই দাবির বিপরীত সুর শোনা গিয়েছিল সুশান্ত চৌধুরীর পরিবার ও বন্ধুদের দিক থেকে। সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে সুশান্ত-সুতপার বেশ কিছু ছবি পোস্ট করা হয়েছে 'তপন ওয়াইটি' নামের একটি প্রোফাইল থেকে। সেই ছবিগুলিতে ওই দুজনের মধ্যে 'ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত' মিলেছে।
পুলিশি হেফাজতে সুতপাকে মন্দিরে বিয়ে করার দাবি করেছে সুশান্ত। আরও একধাপ এগিয়ে, সুতপার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার দাবিও সুশান্ত করেছে তদন্তকারীদের কাছে।
সাধারণত দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর বিচ্ছেদ ঘটলে এই ধরনের বিকার দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ ও নৃশংস, জানাচ্ছেন মনোবিদরা।
সুশান্তের ফেসবুকে গত কয়েক মাসের পোস্ট থেকেও তার মনের জটিলতার কিঞ্চিত হদিস মিলেছিল। ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেও সুশান্ত লিখে রেখেছে, ‘ওয়েটিং কর, ম্যায় আ রহা হুঁ’! কার উদ্দেশে লিখেছিল সে এই কথা? এর মধ্যেও কি লুকিয়ে ছিল সুতপা-হত্যার ইঙ্গিত?