আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন কুড়মিরা। খুলে ফেলা হল আন্দলনের ব্যানার। ধীরে ধীরে আন্দোলন স্থল ছাড়তেও শুরু করেছেন তাঁরা। অবশেষে ৬ দিন পর দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের গড়াল ট্রেনের চাকা। রেল ছাড়াও আন্দোলন প্রত্যাহারের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জাতীয় সড়কের যান চলাচলও।
মঙ্গলবার থেকে কুড়মি জাতিকে তপশিলি উপজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা, সারণা ধর্মের কোড চালু করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচি নেয় আদিবাসী কুড়মি সমাজ। কুড়মালি ভাষায় যে কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে 'রেল টেকা ও ডহর ছেঁকা'।
যার জেরে গত কয়েকদিনে বাতিল করা হয় একগুচ্ছ ট্রেন। সড়ক পথও বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয় যানজটের। চরম ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। এরপর শনিবার অবরোধ স্থলে যান কুড়মি সমাজের মূল নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো। পুরুলিয়া জেলাশাসকের দফতরে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় নবান্ন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন একাধিক আধিকারিকরা।
ওই বৈঠকের পর অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, সামনে পুজো। আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। যদিও, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।