নাম না করলেও বাংলার নতুন রাজ্যপালও যে বিজেপির ক্যাডার ছিলেন, সোমবার তা নিজেদের সম্পাদকীয়তে মনে করিয়ে দিল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রবিবার রাতেই বেশ কড়া বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দবোস। তার পাল্টা হিসাবেই নিজেদের মুখপত্রে সমালোচনা ফিরিয়ে দিল বাংলার শাসক দল। একাধিক প্রশ্ন তুলে দাবি করা হল, বাংলায় ফের ধনখড় যুগ ফেরার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কোচবিহারের ঘটনায় রাজ্যপাল বিজেপির একতরফা রিপোর্টের উপরে বিবৃতি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের মত জানা জরুরি ছিল বলেও দাবি তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েতের পর কোচবিহারের ঘটনা নবান্ন-রাজভবন সম্পর্কে নতুন করে সংঘাতের পথে ঠেলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিল। সোমবারের প্রকাশিত মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে এবার নতুন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলল বাংলার শাসক দল। শাসক দলের প্রশ্ন, এর আগে একাধিক ইস্য়ু আছে, যা নিয়ে রাজভবন চুপ করে থাকল। যারমধ্যে বিএসএফের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে দিনহাটা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার অর্থ কী ? তৃণমূল মনে করে, রাজ্যপাল বিজেপিরই ক্যাডার ছিলেন।
দিনহাটার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দবোস। এই ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের থেকেও তাঁর খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করে বাংলার শাসক দল। আসল ঘটনা কী ? দু পক্ষের থেকে জেনেই বিবৃতি জারি করতে পারতেন তিনি। সম্পদকীয়তে এমনটাই দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।