উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদায় তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেই গেল। শনিবার সকালে এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে অভিযোগ করেন বিজেপির দুই নেতা দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা। এরমধ্যে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, জম্মু-কাশ্মীরে সেনাকেও এইভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিকেলই পাল্টা জবাব দিল শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক এবং মুখপাত্র, এই ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায় নিতে হবে বলেই দাবি করেন। কারণ বিএসএফ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনেই। এই রাজনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্য়েই গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত দুই বিএসএফ কর্মীকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বাগদার ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল। তারআগে ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এরমধ্য়েই কলকাতায় কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, এই কারণেই কি প্রধানমন্ত্রী বিএসএফের কাজের সীমা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করেছেন ? একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এই ঘটনায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিজেপি সরকারের আমলে দেশে নারীরা অসুরক্ষিত। এদিন ফের এই অভিযোগ করেছেন রাজ্য়ের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁরও দাবি, ঘটনায় ক্ষমা চাওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বাগদার ঘটনাকে সামনে রেখে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস।