নতুন হোক বা পুরনো, তৃণমূল কংগ্রেসে একটাই মুখ। তিনি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শুক্রবার কয়লা-কাণ্ডে ইডি জেরা থেকে বেরিয়ে একথা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানান, রাজ্যের মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চান, আগামী ছ মাসে সেই ভাবেই তিনি তৃণমূলকে তৈরি করবেন। মাস খানেক আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ধূপগুড়ির জনসভায় নতুন তৃণমূল সম্পর্কে প্রথম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিষেক। জানিয়েছিলেন আগামী ছ মাসের মধ্যে তৈরি হবে নতুন তৃণমূল। এরপর একুশে জুলাইয়ের সভা মঞ্চে ফের সেই কথাই জানান তিনি। এবার নতুন তৃণমূল নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিষেক।
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ নতুন তৃণমূলের স্লোগান দিয়ে পোস্টার পড়েছিল। সেই পোস্টারের সঙ্গে নিজেদের দূরত্বে রেখেছিল তৃণমূল। বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা দাবি করেছিলেন, এই পোস্টারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আবার তৃণমূলের একাংশ দাবি করেছিল, দুবাই থেকে ফিরে এর ব্যাখ্য়া দেবেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
দক্ষিণ কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ও পূর্ব কলকাতাতেও পোস্টার পরে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দু জনের ছবিই রাখা হয়েছিল। সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এদিন অভিষেক জানান, নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল যারা বামেদের মতো বিভীষিকাকে সরিয়েছে। নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল যারা লড়াইয়ের ময়দানে ভয় পায় না। নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল যাঁদের এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। যারা মাঠে ময়দানে নেমে মানুষের কাজ করবে। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ জানান, নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল ২০১১ সালে, যাদের মানুষ ক্ষমতায় এনেছিল।
অভিষেক এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন তৃণমূল গঠনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে অভিষেক বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠনে রদবদলের কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলার ব্লকস্তরের সংগঠনের রদবদল করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এদিন বলেছেন, ”নতুন তৃণমূল তৈরির প্রক্রিয়া ওই রদবদলগুলির মাধ্যমেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা বা ব্লকস্তরে যারা যাঁরা আসছেন, তাঁরা সকলেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। সেটা ধীরে ধীরে বোঝা যাবে।”