ঈশ্বরের অভিশাপ দেখল গুজরাত। সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। রবিবারের ঘটনায় লেগে গেল রাজনীতির রং। সোমবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ধারাবাহিক পাপের ফল ভুগতে হল গুজরাতকে। এই পাপের জন্য়ই ঈশ্বরের অভিশাপ দেখতে হল। পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, গুজরাতে সেতু ভাঙলে তদন্ত হয়। কিন্তু বাংলায় মাঝেরহাট, পোস্তার মতো সেতু পড়ে গেল তদন্তের নামে প্রহসন হয়। গুজরাতের সেতু ভাঙা ঘিরে বাংলার দুই রাজনৈতিক দলের চাপানউতোরের মধ্য়ে মঙ্গলবার মোরবির ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, সেতু ভাঙার ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে আগে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেইসময় রাজ্য সরকারকে পোস্তার সেতু ভাঙা নিয়ে খোঁচাও দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মন্তব্য ছিল, ভোটের আগে ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। বুঝতেই পারা যাচ্ছে কেমন সরকার আপনারা চান ? গুজরাত নিয়ে তাঁকেই পাল্টা খোঁচা ফিরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কুণাল ঘোষের দাবি, মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা আশা করবেন কলকাতার মাটিতে দাঁড়িয়ে পোস্তা সম্পর্কে যা বলেছিলেন, সেই কথাটা ফের গুজরাতের মাটিতে বলুন প্রধানমন্ত্রী।
তৃণমূলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরে সুকান্তর দাবি, মোরবির ঘটনায় ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন, গুজরাত সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু পোস্তার দুর্ঘটনায় এখনও অধরা অপরাধীরা ।