প্রথমে গুলি। তারপর কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। দুই যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 pgs) মগরাহাট (Magrahat)। স্থানীয় মাগুরপুকুরের গরুর হাটের এই ঘটনায় নিহত যুবকদের মধ্যে একজন সিভিক পুলিশও আছেন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে হাটে বেচা-কেনাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতী প্রথমে হাটে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ওই হাটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক পুলিশ বরুণ রায় এবং আর এক যুবক অমর রায়কে তারা তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের একটি দোকানে আটকে রাখে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দোকানের শাটার বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কিছুক্ষণ পর ওই বন্ধ দোকানের মধ্যে থেকে গুলি আওয়াজ পাওয়া যায়। তারপর কাজ শেষ করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। শাটার খুলে দোকানে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দরা দেখেন, গোটা মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পাশাপাশি লুটিয়ে পড়ে আছেন দুই যুবক। স্থানীয়দের দাবি, দুই যুবককে খুব কাছাকাছি দূরত্ব থেকে গুলি করা হয়। তারপর গলা নলি কেটে খুন করা হয়।
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে আশপাশের গ্রামের মানুষ গরুর হাটে এসে জড়ো হন। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন তাঁরা। একটি দোকানে আগুন দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলে আসেন এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশের বিশাল বাহিনী। কিন্তু কেন দুই যুবককে টার্গেট করা হল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
আবার অন্য একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, সকাল এগারোটা-সাড়ে এগারোটা নাগাদ অশান্তির সূত্রপাত। মাগুরপুকুর এলাকায় গরুর হাট বসে। সে্ই হাটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা। এদিন গরু কেনাবেচার টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা। সূত্রের খবর, সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ রায় এবং তার বন্ধু অমর রায়কে একটি দোকানে ঢুকিয়ে শাটার নামিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।