বাগদায় তরুণীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত দুই বিএসএফ জওয়ানকে সাতদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে বনগাঁ মহকুমা আদালত। এদিকে এই ঘটনার তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএসএফের কমান্ডার পদমর্যাদার এক অফিসারের নির্দেশেই ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন বাহিনীর এক কনস্টেবল।
তদন্তকারীদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে বাগদা সীমান্তের জিতপুর আউটপোস্টের কাছেই সীমান্ত পেরনোর চেষ্টা করছিল স্বামী, সন্তান-সহ ওই তরুণী। পুলিশকে ওই নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁরা বসিরহাটের ত্রিমোহিনীর বাসিন্দা। পুলিশের কাছে অভিযোগ, বিএসএফের তাড়া খেয়ে সামনেই একটি কাঁকরোল ঝোপের মধ্য়ে দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। এর পর তরুণী এবং তাঁর শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই এএসআইয়ের নির্দেশেই তাঁর অধিনস্থ কনস্টেবল তরুণীকে ধর্ষণ করেন। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে বলা হয়েছিল, কনস্টেবলের কাজ শেষ হয়ে গেলেই ছেড়ে দেওয়া হবে। সেইমতো ছেড়েও দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে ওই তরুণী বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই বিএসএফ-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।